পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে যে ১৮ টি প্রকল্প (দুয়ারে সরকার) শুরু করে, তার মধ্যে অন্যতম একটি হল পরিবারের মহিলাদের একটি আর্থিক সহায়তা ব্যবস্থা প্রদানের জন্য একটি নতুন প্রকল্প। এই কল্যাণমূলক প্রকল্পটির নাম হল ”লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যোজনা” নামে পরিচিত। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল রাজ্যের মহিলাদের মাসিক ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তাদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যারা এই স্কিমের অংশ হতে চান এবং এর অধীনে সুবিধা পেতে চান তাদের জন্য অবশ্যই এই পোস্টটি খুবই গুরুত্তপূর্ণ হবে।
লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্প হল একটি রাজ্য সরকারের অর্থায়িত প্রকল্প যা পশ্চিমবঙ্গের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণ বিভাগ দ্বারা পরিচালিত। এমন অনেক পরিবার আছে যাদের মৌলিক আয়ের সহায়তা নেই তাই তারা তাদের প্রতিদিনের ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম হয় না। তাই এই প্রকল্পের অধীনে, রাজ্য সরকার, রাজ্যের শহর ও গ্রামীণ উভয় এলাকায় বসবাসকারী পরিবারের মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে চলেছে।

আজ আমরা লক্ষীর ভান্ডার স্টেটাস চেক (Lakhir Bhander Status Check) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আপনি যদি দুয়ারে সরকার প্রকল্পে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করে থাকেন বা আবেদন করবেন ভাবছেন, তারপর আপনি কিভাবে অনলাইনে চেক করবেন যে আপনার ফর্মটি ভেরিফিকেশন হলো কি না, আপনার ফর্মটি আপ্প্রভ বা অনুমোদিত হয়েছে কি না, ফর্মটি রিজেক্ট বা বাতিল হয়েছে কি না তা জানতে পারবেন।লক্ষীর ভান্ডার স্টেটাস চেকের (Lakhir Bhander Status Check) মাধ্যমে আজ আমরা এখানে লক্ষীর ভান্ডার একাউন্ট এর স্টেটাস ও লক্ষীর ভান্ডার টাকা কতো মাস ধরে একাউন্টে ঢুকছে কি ঢুকছেনা তা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো।
কি এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প?
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প হল একটি আর্থিক সহায়তা প্রকল্প, এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পটি শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী মহিলারা পেয়ে থাকেন। বয়স হতে হবে ২৫-৬০ বছর। আবেদনকারীরা কোনো স্থায়ী চাকরি থাকা চলবে না এবং এস সি/ এস টি /জেনারেল সব কাস্টের মহিলারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে। এস সি /এস টি ক্যাটাগরির মহিলারা ১০০০ টাকা প্রত্যেক মাসে পাবে এবং জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা ৫০০ টাকা প্রত্যেক মাসে পাবে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১.৬ কোটি পরিবার এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে। রাজ্যের একটি পরিবারের মাসিক গড় খরচের কথা মাথায় রেখে এই স্কিমটি চালু করা হয়েছে৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রদত্ত আর্থিক সহায়তার সাহায্যে, একজন উপকারভোগীর মাসিক ব্যয়ের ১০% থেকে ২০% কভার করা হবে৷। তাই আজ আমরা এখানে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প এর জন্য কারা আবেদন করেত পারবেন, কত বয়স পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন এবং যারা আবেদন করেছেন সেই আবেদনকারীরা কীভাবে লক্ষীর ভান্ডার স্ট্যাটাস চেক (Lakhir Bhander Status Check) করতে পারবেন সেই সমস্ত কিছু বিষয় নিয়ে আজকে তা আলোচনা করবো।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প – সংক্ষিপ্তসার
নিচের টেবিলে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের কিছু তথ্য় সংক্ষিপ্তসারে আলোচনা করা হল।
চালু করেছে | পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় |
প্রকল্পের নাম | লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প |
সুবিধাপাবে | ২৫ থেকে ৬০ বছরের মহিলার পাবে |
জেনারেল বিভাগের মহিলারা পাবে | প্রতি মাসে ৫০০ টাকা |
এস.সি, এস.টি বিভাগের মহিলারা পাবে | প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা |
অ্যাপ্লিকেশন জমা দেবার পদ্ধতি | অনলাইন বা অফলাইন |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | https://socialsecurity.wb.gov.in/login |
লক্ষীর ভান্ডার অ্যাপ্লিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
আবেদনকারীর
- বাড়ির স্বাস্থ্য সাথী কার্ড।
- আধার কার্ড।
- রেশন কার্ড।
- কাস্ট সার্টিফিকেট (যদি থাকে)।
- জন্মের প্রমাণপত্র।
- আবাসিক (বাড়ির) শংসাপত্রের প্রমাণপত্র।
- মোবাইল নম্বর।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস।
- রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ফটোগ্রাফ।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড
- আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং ভারতবর্ষের নাগরিক হতে হবে।
- জেনেরাল বিভাগের জন্য, যে পরিবারগুলির অন্তত একজন কর-প্রদানকারী সদস্য রয়েছে তারা এই স্কিমের অধীনে আবেদন করতে পারবেন না।
- এস.সি এবং এস.টি শ্রেণীর সমস্ত পরিবারের ২৫ থেকে ৬০ বছরের বিবাহিত মহিলারা এই প্রকল্পের অধীনে আবেদন করতে পারবেন।
- যে সমস্ত সাধারণ (জেনেরাল) শ্রেণীর নাগরিকদের ২ হেক্টরের বেশি জমি রয়েছে, তারা এই প্রকল্পের অধীনে আবেদন করতে পারবেন না।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের নিয়ম এবং নির্দেশিকা
- আবেদনকারীরা রাজ্য জুড়ে অনুষ্ঠিত নিকটবর্তী সরকারি ক্যাম্প থেকে বিনামূল্যে একটি আবেদনপত্র পাবেন।
- আবেদনকারীরা আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, যেমন- আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবুকের জেরক্স সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে।
- আবেদনকারীর পরিবারগুলি যদি কমপক্ষে একজন কর-প্রদানকারী সদস্য রয়েছে, তারা এই স্কিমের অধীনে আবেদন করতে পারবে না।
- আবেদনকারীর টাকা সরাসরি সুবিধাভোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে।
- সাধারণ শ্রেণীর মহিলা, যাদের ২ হেক্টরের বেশি জমি রয়েছে, তারা এই প্রকল্পের অধীনে আবেদন করতে পারবেন না।
- আবেদনকারীর আধার নম্বরের সাথে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক থাকতে হবে।
- পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা যারা স্থায়ী বাসিন্দা এবং যাদের বয়স ২৫-৬০ বছরের মধ্যে, তারা এই প্রকল্পের অধীনে আবেদন করতে পারবেন।
- এই স্কিমের অধীনে নৈমিত্তিক কর্মীরাও আবেদন করতে পারবেন।
- যে মহিলারা বেসরকারী এবং সরকারী ক্ষেত্রে স্থায়ী চাকরি করছেন তারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না
কিভাবে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করবেন?
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে দু’ধরনের আবেদন করা যায়। প্রথমত, আপনি আপনার নিকটবর্তী দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে সেখান থেকে ফ্রম নিয়ে, ফরমটি ফিলাপ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস তার সাথে যোগ করে সেখানে জমা দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। অথবা দ্বিতীয়ত, আপনি আপনার নিকটবর্তী অনলাইন সেন্টারে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। আপনারা কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন তা আমরা এখানে সংক্ষেপে আলোচনা করব:-
আবেদনকারীর
- প্রথমে আপনাকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি ওপেন করতে হবে।
- ওপেন করার পর ওই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের লিংকে ক্লিক করতে হবে লিংকে ক্লিক করার পর আপনি লগইন পেজে চলে আসবেন।
- প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে রেজিস্ট্রেশন করার পর লগইন করতে হবে লগইন করার পর ফরমটি ফিলাপ করতে হবে।
- ফিলাপের জন্য যা যা লাগবে সেই রকম ভাবে ফর্মটি ফিলাপ করতে হবে এবং আপলোড করতে হবে, আপলোড করার বা প্রয়োজনীয়া তথ্য় গুলি হল-
- অনুগ্রহ করে দুয়ারে সরকার রেজিস্ট্রেশন নং পূরণ করুন পর্যাপ্ত স্থানে।
- পরিবারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নং টি লিখুন বা টাইপ করুন।
- আবেদনকারীর প্রাপ্ত নাম লিখবেন।
- সঠিকভাবে আবেদনকারী মোবাইল নাম্বারটি লিখবেন।
- ইমেইল আইডি লাগবে।
- বাবার নাম লিখতে হবে।
- মায়ের নাম লিখতে হবে।
- বাড়ির ঠিকানা লিখতে হবে।
- ব্যাংক একাউন্টের বিবরণী দিতে হবে।
- এই সমস্ত বিবরণ পূরণ করার পরে এখন আপনাকে স্ব-ঘোষণা ফর্ম পূরণ করতে হবে।
- এখন এর পরে অনুগ্রহ করে সাবধানে সংশ্লিষ্ট বিভাগে নির্ধারিত আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
লক্ষীর ভান্ডার লগইন পোর্টাল
- প্রথমে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি ওপেন করুন।
- ওপেন করার পর ওই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের লিংকে ক্লিক করতে হবে লিংকে ক্লিক করার পর আপনি লগইন পেজে চলে আসবেন।
- হোমপেজে, আপনাকে আপনার নিজস্ব মোবাইল নম্বর লিখতে হবে।
- এখন আপনাকে জেনারেট ওটিপিতে ক্লিক করতে হবে।
- এর পরে আপনার নিজস্ব মোবাইল নম্বরে একটি ও টি পি আসবে।
- আপনাকে এই ওটিপিটি, ওটিপি বক্সে লিখতে হবে।
- রেজিস্ট্রেশন করার পর, এখন আপনাকে লগইন এ ক্লিক করতে হবে।
- অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস এখন আপনার কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখা যাবে, তারপর ফর্ম ফিল আপ করুন যত্নসহকারে।
লক্ষীর ভান্ডার স্টেটাস চেক কী ভাবে করবেন? (Lakhir Bhander Status Check)
বাড়িতে থেকে লক্ষীর ভান্ডার স্টেটাস চেক অনলাইনের জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন হবে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন/ল্যাপটপ/ ডেস্কটপ এবং একটি ইন্টারনেট কানেকশন।
প্রথম পর্যায় (কী ভাবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের হোম পেজে আসবেন) :

যেকোনো ব্রাউজারের সার্চ অপশনে গিয়ে socialsecurity.wb.gov.in লিখে সার্চ করতে হবে। তারপর, পরবর্তী পেজে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটি খুলে যাবে। যেখানে প্রথমে লেখা রয়েছে লক্ষীর ভান্ডার পোর্টাল, তার নিচে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (ওয়েস্ট বেঙ্গল),তার নিচে রয়েছে এন্টার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর এর জন্য বক্স, তার নিচে রয়েছে এন্টার ও টি পি এর জন্য বাক্স। তার নিচে রয়েছে লগইন এবং জেনারেট ও টি পি এর অপশন।
কিন্তু এখানে মোবাইল নম্বর অ্যাড করে লগইন হবে না, তার জন্য জেনারেট ও টি পি-তে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে যেতে হবে। পরবর্তী পেজে যাবার পর এন্টার রেজিস্টার মোবাইল নম্বর এর বক্স রয়েছে এবং ঠিক তার নিচে রয়েছে সেন্ড ও টি পি, তার নিচে আছে অলরেডি হ্যাভ ও টি পি।
দ্বিতীয়া পর্যায়:

কিন্তু এখানে মোবাইল নম্বর অ্যাড কোরে লগইন হবে না, তার জন্য জেনারেট ও টি পি-তে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে যেতে হবে। পরবর্তী পেজে যাবার পর এন্টার রেজিস্টার মোবাইল নম্বর এর বক্স রয়েছে এবং ঠিক তার নিচে রয়েছে সেন্ড ও টি পি, তার নিচে আছে অলরেডি হ্যাভ ও টি পি।
আবেদনকারী লক্ষীর ভান্ডার আবেদন করার সময় যে মোবাইল নম্বরটি দিয়াছিলেন সেই মোবাইল নম্বরটি ওই রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর এর ফাঁকা বক্সএ লিখতে হবে, তারপর সেন্ড ও টি পি তে ক্লিক করতে হবে।

এরপর আপনি আপনার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর এ ৬ সংখ্যার ও টি পি আসবে, ওই ও টি পি লিখে এন্টার করার পর পরবর্তী একটি পেজ খুলে যাবে। ওই পেজে ওপরে দেওয়া ছবির মত তিনটি অপশন আছে- ড্যাশবোর্ড, লক্ষ্মীর ভান্ডার, বেনিফিসিয়ারি লিস্ট রিপোর্ট।

লক্ষীর ভান্ডার এ ক্লিক করলে আরো একটি পেজ খুলে যাবে এবং আরো অনেকগুলি সাবমেনু অপশন চলে আসবে। ওই সাবমেনু তো রয়েছে লক্ষীর ভান্ডার ফর্ম, সাবমিটেড অ্যাপ্লিকেশন, ট্র্যাক অ্যাপ্লিকেশন, রিভার্টেড অ্যাপ্লিকেশন, ফলটি অ্যাপ্লিকেশনস লিস্ট
তৃতীয় পর্যায় (লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প মেসেজ সংক্রান্ত বিষয়):

যদি আপনি লক্ষীর ভান্ডার এর অ্যাপ্লিকেশন আইডিটি না পেয়ে থাকেন বা আপনার রেজিস্টার মোবাইল নাম্বারে অ্যাপ্লিকেশন আইডি টি না এসে থাকে তখন সেই অ্যাপ্লিকেশন আইডি পাওয়ার জন্য সাবমিটেড অ্যাপ্লিকেশন এ ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর পরবর্তী পেজে চোলে যাবে যেখানে একটি সার্চ অপসন থাকবে।

ওই সার্চ অপশনে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর নম্বর দিয়ে সার্চ করতে হবে, সার্চ অপশনে ক্লিক করার পর অন্য একটি পেজ ওপেন হয়ে যাবে। ওই পেজে আবেদনকারীর সর্বপ্রথম অ্যাপ্লিকেশন আইডি থাকবে, নাম, যাবতীয় তথ্য তার সাথে সেখানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর নম্বর দেওয়া থাকবে।
চতুর্থ পর্যায়:

এখন অ্যাপ্লিকেশন ট্র্যাক করার জন্য লক্ষী ভান্ডার এর সাবমেনু থাকা ট্রাক অ্যাপ্লিকেশন এ ক্লিক করতে হবে, ট্রাক অ্যাপ্লিকেশন এ ক্লিক করার পর পরবর্তী একটি পেজ ওপেন হয়ে যাবে সেখানে অ্যাপ্লিকেশন আইডির নিচে একটি ব্ল্যাঙ্ক বাক্স আছে, সেখানে যে এপ্লিকেশন আইডিটি বের করলেন বা মোবাইলে এপ্লিকেশন আইডিটি পেয়েছেন সেটি এখানে লিখে সার্চ করতে হবে। তারপর আরও একটি নতুন পেইজ খুলে যাবে। এখানে তিনটে স্টেপে থাকে।
প্রথম স্টেপ (লক্ষীর ভান্ডার রেজিস্ট্রেশন নম্বর):

আপনি যখন আপনার ফর্মটা দুয়ারে সরকারে জমা দেন তখন একটি প্রাথমিকভাবে এন্ট্রি করা হয় আপনার নাম ও আপনার দেওয়া একটি ডকুমেন্ট দিয়ে। এন্ট্রি করার পর একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর বেরিয়ে যাই এবং সেই রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি আপনার ফর্ম এ লিখে দেওয়া হয়। এটা হলো প্রাথমিক স্টেপ বা প্রাথমিক এন্ট্রি। এই এন্ট্রি কত তারিখে কখন হয়েছে তা দেওয়া থাকবে।
দ্বিতীয় স্টেপ (লক্ষীর ভান্ডার ফাইনাল সাবমিট ):

যখন আপনার ফর্মের তথ্য ও নথির ডিটেলস পোর্টালে লিখে ফাইনাল সাবমিট হয় তখন সেটা হলো সেকেন্ড স্টেপ বা সেকেন্ড এন্ট্রি। এখানেও ফাইনাল এন্ট্রি বা সেকেন্ড স্টেপ কখন হয়েছে তার সময় এবং তারিখ দেওয়া থাকে।
তৃতীয় স্টেপ (লক্ষীর ভান্ডার ভেরিফিকেশন):

তৃতীয় স্টেপ সম্পন্ন হয় বিডিও অফিসে, এই বিডিও অফিসে যখন আপনার নথিপত্র দেখে যাচাই বা ভেরিফিকেশন করবেন এবং যাচাই তা সত্য হলে তারা আপনার ফর্মটি একসেপ্ট বা এপ্রোভ করবেন যাকে বলা হয় ফাইনাল এন্ট্রি বা স্টেপ। তৃতীয় স্টেপ কখন সম্পন্ন হয়েছে এবং কোন তারিখ হয়েছে তা দেখা যাবে।
পঞ্চম পর্যায় (লক্ষীর ভান্ডার লিস্ট চেক):

তৃতীয়া স্টেপ সম্পন্ন হওয়ার পর আপনার রেজিস্টার মোবাইল নম্বর এ একটি বেনিফিশিয়ারি আইডি পেয়ে যাবেন। যদি আপনি বেনিফিশিয়ারি আইডি না পেয়ে থাকেন তখন আপনাকে বেনিফিশিয়ারি রিপোর্টে গিয়ে চেক করতে হবে এবং আপনি যদি বেনিফিশিয়ারি আইডি পেয়ে থাকেন বা এপ্লিকেশন আইডি বা স্বস্থাসাথি কার্ড নম্বর দিয়ে এখানে সার্চ করলে দেখতে পাবেন যে আপনাকে বেনিফিশিয়ারি লিস্ট এ যোগ করা হয়েছে, কি না?
ষষ্ঠ পর্যায় (লক্ষীর ভান্ডার টাকা):
যদি বেনিফিশিয়ারি লিস্টে যোগ করা হয়ে থাকে তাহলে আপনি খুব শীঘ্রই টাকা পাবেন, না যোগ থাকলে আপনাকে আপনার এলাকার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পএ যেতে হবে বা বিডিও অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। এই পোর্টালের মাধ্যমে আপনার লক্ষীর ভান্ডার স্টেটাস চেক (Lakhir Bhander Status Check) সংক্রান্ত তথ্য জানা যায়, যেমন- এপ্লিকেশন এপ্প্রভ হয়েছে বা বাতিল হয়েছে বা পেন্ডিং আছে তা জানা যাবে।
লক্ষীর ভান্ডার চেক করা অ্যাপস:
লক্ষীর ভান্ডার স্টেটাস চেক (Lakhir Bhander Status Check) এর জন্য কোনো আপস নাই। শুধুমাত্র socialsecurity.wb.gov.in এই লিঙ্কটি কোনো ব্রাউজারে লিখে রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর যেটি লক্ষীর ভান্ডারে দেওয়া আছে সেই নম্বর দিয়ে একাউন্ট এ প্রবেশ করলে লক্ষীর ভান্ডার স্টেটাস চেক (Lakhir Bhander Status Check) করা যাবে।
লক্ষীর ভান্ডার স্ট্যাটাস চেক (Lakhir Bhander Status Check) করার জন্য যে কেউ এটি নিজের এন্ড্রোইড মোবাইল, ল্যাপটপ/ ডেস্কটপ ব্যবহার করে দেখতে পারবেনা। লক্ষীর ভান্ডার স্ট্যাটাস চেক (Lakhir Bhander Status Check) এর জন্য আপনাকে আপনার নিকটবর্তী দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যেতে হবে বা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের কর্মীদের নিজস্ব রেজিস্টার্ড মোবাইল দিয়ে লগইন করে যে কোনো আবেদনকারীর লক্ষীর ভান্ডার স্ট্যাটাস চেক (Lakhir Bhander Status Check) করতে পারবে।
Lakhir Bhandar Helpline Number | লক্ষীর ভান্ডার হেল্পলাইন নম্বর
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প সম্বন্ধে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করার জন্য লক্ষীর ভান্ডার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট পোর্টালে কোন হেল্পলাইন নাম্বার দেওয়া নেই। কিন্তু আপনারা দুয়ারে সরকার হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প সম্বন্ধে তথ্য জানতে পারেন।
Navanna Bhavan
325, Herbs Building, Sarat Chatterjee Road, Shivpur, Howrah-7Ga102.
Helpline : (1070 / 033-22143526)
Email: duaresrocker@gmail.com
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের গুরুতপূর্ণ লিংক
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের কিছু গুরুতপূর্ণ লিংক নিচের বক্সে দেওয়া হল।
বিষয় | ছোট শিরোনাম |
অফিশিয়াল ওয়েবসাইট | ক্লিক করুন |
অনলাইন এপ্লাই | অ্যাপ্লাই করুন |
অফলাইন এপ্লাই | ডাউনলোড করুন |
বন্ধুরা আমি আশা করব আপনারা এই পেজ এর মাধ্যমে লক্ষীর ভান্ডার স্ট্যাটাস চেক কিভাবে করতে হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন।
যেকোনো রকম সরকারি যোজনা আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে থাকি। আপনার যদি এই পেজটা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এই পেইজটি শেয়ার করতে পারেন।