দুয়ারের সরকার যোজনার ব্যাপারে কোনো আলোচনা করিনি তাই আজকে আমরা এখানে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট 2023 (Duare Sarkar Camp List) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোন জেলায় কবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসবে সে বিষয়ে আলোচনা করব। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট 2023 হুগলিতে কবে হবে? দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট 2023 হাওড়া তে কোন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে? দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট 2023 পশ্চিম বর্ধমান, দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট 2023 পুরুলিয়া, দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট 2023 বীরভূম, দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট 2023 পশ্চিম মেদিনীপুর, দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট 2023 হুগলি, দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট 2023 পূর্ব মেদিনীপুর।
এই ক্যাম্পের অধীনে, জনগণ সহজেই গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পরিষেবার সুবিধাগুলি পৌঁছাতে সক্ষম হবে এবং আজকের এই বিষয় নিয়ে আমরা দুয়ারে সরকার শিবির তালিকা সম্পর্কিত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন উদ্দেশ্য, যোগ্যতার মানদণ্ড, গুরুত্বপূর্ণ নথি, সুবিধা এবং বৈশিষ্ট্যগুলি আপনার সাথে শেয়ার করব। এছাড়াও, আমরা আপনার সাথে জেলাভিত্তিক ক্যাম্প তালিকা সমস্ত কিছু শেয়ার করবো এখানে।

এছাড়াও বিভিন্ন জেলাগুলিতে আগামী দিনে কবে কোথায় দুয়ারে সরকার এর আয়োজন করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। রাজ্যের জনগণের দোরগোড়ায় 18টি বিদ্যমান কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা প্রদানের জন্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকার গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পৌর ওয়ার্ড স্তরের স্তরে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প তৈরি করেছে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই প্রকল্পের সুবিধা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষ পাবেন।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট 2023 – সংক্ষিপ্ত বিবরণ
চালু করেছে | পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
প্রকল্পের নাম | দুয়ারে সরকার ক্যাম্প |
সুবিধা পাবে | পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক |
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্দেশ্য | বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করা |
বছর | ২০২২ থেকে ২০২৩ |
স্কিম সংখ্যা | ১৮ |
পোস্ট ক্যাটেগরী | সরকারী যোজনা |
সরকারী ওয়েবসাইট | https://www.wb.gov.in/ |
দুয়ারে সরকার প্রকল্প কি?
দুয়ারের সরকার ক্যাম্প লিস্ট ২০২৩ এর বিষয়ে জানার আগে আপনার দুয়ারে সরকার প্রকল্পের বিষযে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষের সুবিধার জন্য পুরানো প্রকল্পের সাথে সাথে অনেক নতুন প্রকল্পের সূচনা করেছেন সেই প্রকল্প গুলির মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প যেমন- লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, খাদ্য সাথী, শিক্ষাশ্রী, জাতিগত শংসাপত্র, তপশিলি বন্ধু, জয় জোহার, মানবিক, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প, ঐক্যশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কৃষক বন্ধু, সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, ইত্যাদি মোট ১৮ টি প্রকল্প শুরু হয়ছে ।
এই 18 রকম বিভিন্ন প্রকল্পগুলিতে নতুন আবেদন করার সময়, অথবা কোন ভুল সংশোধন করার জন্য আপনাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিস অথবা কোন রকম আপনার নিকটবর্তী কমন সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে। এখানে আপনার সময় লাগবে, যাতায়াতের খরচ লাগবে এবং কমন সার্ভিস সেন্টার থেকে কাজগুলি করানোর জন্য অতিরিক্ত কিছু খরচের জন্য টাকা দিতে হবে না, কারণ এখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্প।
পশ্চিমবঙ্গের জনগণের সুবিধার্থে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর সমস্ত প্রকল্প গুলির নতুন আবেদন, এবং সংশোধন করার জন্য সরকারি তরফ থেকে প্রতিটি গ্রাম অঞ্চলে একটি করে ক্যাম্প এর আয়োজন করা হয়। সেই ক্যাম্পে জনসাধারণ গিয়ে তাদের এই সমস্ত প্রকল্প সম্বন্ধে কাজকর্ম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করেন করতে পারবেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই আয়োজন কেই বলা হয় দুয়ারে সরকার প্রকল্প। এই প্রকল্প প্রতিটি জেলার প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যেক অঞ্চলে এবং প্রত্যেক পৌরএলাকায় তিন বার করে দুয়ারে সরকার প্রকল্প আয়োজিত হয়।
দুয়ার সরকার ক্যাম্পে কোন কোন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে:
আমরা এই বিষয়ে উপরের আগেই বর্ণনা করেছি কিন্তু সেটি আমরা সংক্ষেপে বর্ণনা করেছি, এখন আমরা এখানে বিস্তারিত বর্ননা দেবো যাতে আপনারা সহজেই বুঝতে পারেন যে, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণ কোন কোন প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারবেন। রাজ্যের নাগরিকদের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা প্রদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই শিবিরের আয়োজন করেছে। এই ক্যাম্পের সুবিধা, সুবিধাভোগীদের তাদের ঘরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের দ্বারা। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের তালিকা অনলাইন পোর্টালে আপলোড করা হয়।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ৩টি পর্যায়ে হয়:
দুয়ারে সরকার প্রকল্পটি ১ লা ডিসেম্বর চালু করা হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা এবং তারপর থেকে সরকার ক্রমাগত হাজার হাজার শিবিরের আয়োজন করছে, যাতে সমস্ত পশ্চিমবাঙ্গাবাসী বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখন পর্যন্ত দুয়ারে সরকার শিবিরের তিনটি পর্যায় সংগঠিত করেছে। এই তিনটি ক্যাম্প সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্নরূপ:-
প্রথম পর্যায়:
প্রথম পর্যায়ে, রাজ্য জুড়ে ক্যাম্পগুলি সংগঠিত হয়েছিল যা রাজ্যের প্রায় ২.৫ কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছিল। ১লা ডিসেম্বর থেকে ২৫শে জানুয়ারী পর্যন্ত ৫৫ দিনব্যাপী এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। ২৫০০০ টিরও বেশি শিবির প্রথম পর্যায়ের অধীনে ছিল দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের জন্য।
দ্বিতীয় পর্যায়:
দুয়ারে সরকার প্রকল্পের অধীনে, দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন করা হয়েছে প্রতিটি নাগরিক যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা পান তা নিশ্চিত করার জন্য, যা ২৭ শে জানুয়ারী শুরু হয় এবং ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে। এই শিবিরগুলি সেই সমস্ত উপকারভোগীদের জন্য আয়োজিত হয়েছিল, যারা প্রথম পর্যায়ে এই শিবিরগুলি থেকে সুবিধা নিতে সক্ষম হয়নি।
তৃতীয় পর্যায়:
তৃতীয় পর্যায়ে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি জেলায় দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করে থাকে। প্রায় ১৭১০৭ টি ক্যাম্প এই সময়কাল ধরে সংগঠিত হবে যা পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১.৬ কোটি নাগরিক উপকৃত হবে। সুবিধাভোগীরা, এই শিবিরগুলির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিজ্ঞাপিত ১৮টি প্রকল্পের অধীনে আবেদন করতে পারবেন।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের ১৮ টি প্রকল্প
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে যে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরু হয়েছিল তার ১৮ টি প্রকল্প নিচে আলোচনা করা হলো:
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প:
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে, পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হয়। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যেকোন মহিলা নতুন করে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পাররেন, কোন আবেদনকারী মহিলার লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে ভুল সংশোধন করতে পাররেন, এছাড়াও নতুনভাবে ব্যাংক একাউন্ট নাম ইত্যাদি আপডেট করতে পারবেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে।

কারা এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাবেন
পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী যেকোনো পরিবারে ২৫ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলা সদস্য যারা কোন চাকরি করেন না অর্থাৎ, সরকারি সংস্থা, পঞ্চায়েত, পৌরনিগম, পৌরসভা, স্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থা, সরকার চালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইত্যাদি’তে নিয়মিত ভাবে কোনো সরকারি চাকরি করেন না, তারাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এইরকম প্রত্যেক তপশিলি জাতি/ আদিবাসী জনজাতি পরিবারের মহিলার মাসিক ১০০০ টাকা, এবং তপশিলি জাতি/ আদিবাসী জনজাতি পরিবার ছাড়া অন্য পরিবারের মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা সহায়তা পাবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
- আবেদনকারীর পরিবারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জেরক্স কপিতে নিজের সই করা।
- আবেদনকারীর আধার কার্ডের নিজের সই করা জেরক্স কপি।
- আবেদনকারীর যদি তপশিলি জাতি, আদিবাসী জনজাতির অন্তর্গত হয়, তাহলে সেই শংসাপত্র নিজের সই করা জেরক্স কপি।
- আবেদনকারী মহিলার ব্যাংকের পাস বইয়ের অ্যাকাউন্ট নাম্বার, আইএফএসসি কোড, ব্যাংকের ঠিকানা, অর্থাৎ ব্যাংকের পাস বইয়ের নিজের সই করা জেরক্স কপি।
- আবেদনকারী মহিলার সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট মাপের রঙিন ফটো।
রূপশ্রী প্রকল্প:
পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের দরিদ্র লোকদের বিয়ের সময় আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য রূপশ্রী স্কিম তৈরি করেছে। দরিদ্র লোকেদের এককালীন আর্থিক পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হবে তাদের মেয়ের বিয়ের সময় ২৫,০০০ টাকা। তারা সহজেই এই প্রকল্পের আওতায় আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন।

দুয়ার সরকার ক্যাম্প এর মাধ্যমে রূপশ্রী প্রকল্পের কাজ, অর্থাৎ রূপশ্রী প্রকল্পে নতুন ভাবে আবেদন ও রূপশ্রী প্রকল্পের কোন সংশোধনের প্রয়োজন হলে তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা
রূপশ্রী প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারবেন:
- আবেদনকারী মেয়েকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে, অথবা বিগত পাঁচ বছর যাবত পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছেন এমন হতে হবে।
- ১৮ বছর বয়সের যে কোন অবিবাহিত মেয়ে প্রথমবার বিবাহ করার সময় রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- ওই আবেদনকারী মেয়ের সঙ্গে বিবাহিত পাত্রের বয়স কমপক্ষে 21 বছর হতে হবে।
- ১.৫ লক্ষ টাকার বেশি বাৎসরিক আয় হতে হবে ওই আবেদনকারী পরিবারের।
- যে এই প্রকল্পে আবেদন করবেন, সেই আবেদনকারীর নামে ব্যাঙ্ক একাউন্ট থাকতে হবে এবং তার সাথে ব্যাঙ্ক এর আই এফ এস কোড , এম আই সি আর কোড দিতে হবে।
রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র:
- আবেদনকারীর বয়সের প্রমাণপত্র থাকতে হবে: আধার কার্ড/ ভোটার কার্ড/ পান কার্ড/ জন্মের শংসাপত্র/মাধমিকের এডমিট কার্ড/ সরকারি বিদ্যালয় ছাড়ার শংসাপত্র থাকতে হবে।
- পারিবারিক আয়েরস্বঘোষণা পাত্র থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর বসবাসের প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
- বৈবাহিক স্থানের প্রমাণপত্র থাকতে হবে আবেদনকারীর।
- যে আবেদন করবে আবেদনকারী ও পাত্রের রঙিন পাসপোর্ট ছবি লাগবে।
- আবেদনকারীর ব্যাংকের আই.এফ.এস.সি কোড, এম.আই.সি.আর কোড সহ ব্যাংকের পাস বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠার ফটোকপি লাগবে যেখানে দরকারি তথ্য আছে ।
- আবেদনকারীর প্রস্তাবিত বিয়ের প্রমাণ হিসেবে ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন নোটিশ, স্বঘোষণাপত্র বা বিবাহের নিমন্ত্রণ পত্র থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর প্রস্তাবিত পাত্রের বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে প্রস্তাবিত পাত্রের মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড/ আধার কার্ড/ ভোটার কার্ড/ প্যান কার্ড/ জন্মের শংসাপত্রের ফটোগ্রফি/ সরকারি বিদ্যালয় ছাড়ার শংসাপত্রের ফটোকপি থাকতে হবে।
কন্যাশ্রী প্রকল্প:
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম আরেকটি প্রকল্পের নাম হলো কন্যাশ্রী প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের মেয়েদের প্রণোদনা দেওয়ার জন্য একটি নতুন প্রকল্প তৈরি করেছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের অধীনে ১৩ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সী মেয়েরা ৮ ম শ্রেণী থেকে ১২ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে।

কন্যাশ্রী-১ (K 1): আবেদনকারীকে সরকার স্বীকৃত নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে অবিবাহিত মেয়েদের বাৎসরিক ১০০০ টাকা হারে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।
কন্যাশ্রী-২ (K 2): আবেদনকারী একই প্রতিষ্ঠানে পাঠরতা ১৮ বছরের বেশি এবং ১৯ বছরের কম বয়সের অবিবাহিত মেয়েদের এককালীন ২৫,০০০ টাকা অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়।
দুয়ারের সরকার ক্যাম্প চলাকালীন কোন আবেদনকারী ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য নতুন ভাবে আবেদন, অথবা সংশোধনমূলক কাজকর্ম গুলি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করতে পারবেন।
কন্যাশ্রী প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারবেন:
- আবেদনকারী মেয়েকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে এবং অবিবাহিত হতে হবে।
- আবেদনকারীর মেয়ের বয়স ১৩ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- মেয়ের বয়স ১৩ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- আবেদনকারী মেয়কে সরকারের অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে হবে।
- আবেদনাকারীর নিজের নামে কোনো ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র:
- আবেদনকারী মেয়ের জন্মের নথিপত্রের ফটোকপি থাকতে হবে।
- ব্যাঙ্কের পাস বইয়ের দরকারি তথ্য সহ প্রথম পৃষ্ঠার ফটোকপি লাগবে আবেদনকারী।
- আবেদনকারীর বৈবাহিক অবস্থানের ঘোষণাপত্র থাকতে হবে।
- রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটোকপি লাগবে যার ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হবে।
- আবেদনকারীর বয়স যদি ১৩ বছরের বেশি হয় এবং অষ্টম শ্রেনির নিচে পড়াশোনা করে এবং ৪০% বা তার বেশি প্রতিবন্ধকতা থাকা তাহলে সেই উপযুক্ত ব্যাক্তির কর্তৃপক্ষের থেকে পাওয়া প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্রের ফটোকপি লাগবে।
বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা:
বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা শ্রম দপ্তর পরিচালিত একটি যোজনা অন্তর্গত, যেখানে ব্যাঙ্কের পাস বই দুয়ারের সরকার ক্যাম্পে বিনামূল্যে আপডেট করা হয়ে থাকে ।

বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পে কোন ধরনের ব্যাক্তিরা এই সুবিধা পাবে:
- নিবন্ধীকৃত ব্যাক্তিরা এই সুবিধা পাবেন, অর্থাৎ যারা শারীরিক ভাবে অক্ষম তারাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পে আবেদনের জন্য কী কী নথি প্রয়োজন:
- শুধুমাত্র নিবন্ধীকৃত ব্যাক্তিরা এই সুবিধা পাবেন।
- আবেদনকারীর সামাজিকমুক্তি কার্ড ও পাস বই লাগবে।
বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়ার যোগাযোগের স্থান:
- আবেদনকারীর নিজের এলাকার দুয়ারে সরকার শিবিরে শ্রম দপ্তরের জন্য নির্ধারিত কাউন্টার/ টেবিলে যোগাযোগ করুন।
অন্যান্য তথ্য জানার জন্য:
মহাকুমা বা জেলাস্তরে আঞ্চলিক কার্যালয় (RLO) অথবা ব্লক ও পৌরসভা স্তরে শ্রমিক কল্যাণ সহায়তা কেন্দ্র (LWFC)।
নতুন ব্যাংক একাউন্ট প্রকল্প:
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যে 18 টি প্রকল্প শুরু হয়েছে সেই সমস্ত প্রকল্পগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। সেই সমস্ত প্রকল্প গুলির জন্য ব্যাংক একাউন্ট অবশ্যই প্রয়োজনীয়। কিন্তু এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যারা নতুন প্রকল্পের আবেদন করতে চান, কিন্তু তাদের কাছে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। ব্যাংক একাউন্ট না থাকর কারণে তারা এই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এই সবকিছু সমস্যার সমাধানের জন্য দুয়ারের সরকার ক্যাম্পেই নতুন ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধাও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে করে দেওয়া হয়েছে।

নতুন ব্যাঙ্ক একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র:
যে কোন ব্যাঙ্কে সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য KYC ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয় নথি নিম্নে দেওয়া হয়েছে:
- সর্ব প্রথম আবেদনকারীর ঠিকানা প্রমানের জন্য যেকোনো একটি থাকা প্রয়োজন, যেমন-ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, বিদ্যুতের বিল/ ফোনের বিল/ ল্যান্ডলাইন ফোনের বিল (৬মাসের বেশি পুরানো চলবে না),কনসিউমার গ্যাস কানেকশন বিল বা কার্ড, সরকারি অধিকারিক কর্তৃপক্ষের চিঠি, বাড়ির দলিলের ফটোকপি, বসবাসের প্রমান হিসাবে সার্টিফিকেট যা নিয়োগকর্তার দেওয়া, লিজ-চুক্তির কপি সাহা গত ৩মাসের ভাড়ার রসিদ।
- তারপর আবেদনকারীর পরিচয় প্রমানের জন্য যেকোনো একটি থাকা প্রয়োজন, যেমন-ভোটার কার্ড,আধার কার্ড,পান কার্ড,ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট মাপের তিন কপি ছবির প্রয়োজন হবে ।
জয় জোহার বা তপশিলি বন্ধু প্রকল্প:
পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের তফসিলি উপজাতি শ্রেণীর লোকদের মধ্যে পেনশন প্রদানের জন্য একটি নতুন প্রকল্প তৈরি করেছে। অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তর এবং আদিবাসী উন্নয়ন দাদপ্তরের উদ্দোগে একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে যা আদিবাসী মানুষদের জন্য তাপশীলি বন্ধু প্রকল্প ।এই বিশেষ প্রকল্পে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সি মানুষদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পেনসেন দেওয়া হবে। এছাড়াও, ৬০ বছরের বেশি বয়সী সুবিধাভোগী যাদের তফসিলি উপজাতি বিভাগের শংসাপত্র আছে, তারাও এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

জয় জোহার বা তপশিলি বন্ধু প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারবে:
- আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- তপশিলি জাতিভুক্ত বা আদিবাসী জাতিভুক্ত হতে হবে।
- আবেদনকারীর নিজের নামের একাউন্ট থাকতে হবে ।
- আবেদনকারীর বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
- আবেদনকারীকে রাজ্য সরকারি বা কেন্দ্র সরকার বা অন্য রকম কোনো সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্পে ভাতা পাওয়া চলবে না।
জয় জোহার বা তপশিলি বন্ধু প্রকল্পে আবেদনের জন্য কী কী নথি প্রয়োজন:
- আবেদনকারীর ভোটার কার্ড এবং রেশন কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
- আবেদনকারীর ব্যাঙ্কের পাশবই এর প্রথম পেজের ফটোকপি লাগবে।
- আবেদনকারীর বাড়ির ঠিকানার যেকোনো প্রমানপাত্র।
- জাতিগত শংসাপত্র না থাকলে বাবার দিকের আত্মীয়ের জাতিগত শংসাপত্র। পরবর্তী সময় আবেদনকারীকে নিজের জাতিগত শংসাপত্র জমা দিতে হবে।
জয় জোহার বা তপশিলি বন্ধু প্রকল্পে যোগাযোগের স্থান:
নিজের গ্রামীণ এলাকার বিডিও অফিস, পৌর এলাকার মহকুমাশাসক এবং কলকাতার পুর কমিশনার।
১০০ দিনের কাজের প্রকল্প:
এম.জি.এন আর ই.জি.এ এর উদ্দোগে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের একটি প্রকল্প যা প্রত্যেকটা পরিবার ১০০ দিনের কাজ পেতে পারে। আবেদনকারীরা জব কার্ডের আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যে জব কার্ড দেওয়া হবে। কাজের আবেদন করার পর ১৫দিনের মধ্যে কাজ প্রদান করা হবে। কাজের পর কিছুদিনের মধ্যেই আবেদনকারীর ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে।

১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে:
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের যে কোন জেলার গ্রামীণ এলাকার যে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক বাসিন্দারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে আবেদনের জন্য কী কী নথি প্রয়োজন:
- আবেদনকারীকে প্রথমে নির্দিষ্ট ফর্ম বা সাদা কাগজে আবেদন করতে হবে জব কার্ডের জন্য।
- আবেদনকারীর পরিচয় পত্রের জন্য আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং রেশন কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
- আবেদনকারীর নামে ব্যাংকের পাস বই এর ফটোকপি লাগবে।
১০০ দিনের কাজের প্রকল্প যোগাযোগের স্থান:
নিজের গ্রামীণ এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে যোগাযোগ করুন।
নতুন কৃষক বন্ধু প্রকল্প:
কৃষককে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষকবন্ধু প্রকল্প নামে পরিচিত একটি নতুন প্রকল্প তৈরি করেছে। এই প্রকল্পের অধীনে কৃষকদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বার্ষিক 4,000 টাকা প্রদান করা হবে। কৃষি দপ্তরের উদ্দোগে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে খারিফ ও রবি চাষ শুরুর আগে কৃষি উপকরণের ক্রয়ের সুবিধার্থে এক একর বা তার বেশি চাষযোগ্য জমির জন্য বছরে দু কিস্তিতে সর্বাধিক 10 হাজার টাকার অনুদান পাবেন, যদি জমি এক একরের কম হয় তাহলে আনুপাতিক হারে বছরে দুই কিস্তিতে ন্যূনতম 4,000 টাকা পাবে। এছাড়াও, যদি কৃষক 60 বছর বয়সের আগে মারা যান, তাহলে কৃষকের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার অনুদান দেওয়া হবে।

পশ্চিমবঙ্গ কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারবে:
- এই প্রকল্পের জন্য আবেদনকারী কৃষকের নিজের নামে চাষযোগ্য জমির কাগজ/ পাট্টা বনবিভাগের পাট্টা থাকলে, অথবা নিবন্ধীকৃত বর্গা হলেও সুবিধা পাবে।
- আবেদনকারী কৃষকের যদি নিজের নামে জমি না থাকে তাহলে দলিল/ দানপত্র/ অন্যান্য নথি এবং সহ ঘোষণাপত্র আর তার সাথে পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া সার্টিফিকেট সহ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদনের জন্য কী কী নথি প্রয়োজন:
- নতুন কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য আবেদনকারীকে আবেদনপত্রের সাথে দিতে হবে- চাষযোগ্য জমির কাগজ বর্গা/ নিবন্ধীকরণের নথি/ পাট্টা বা বনবিভাগের পাট্টার নথি, ভোটার কার্ড (আবশ্যিক), আধার কার্ড(আবশ্যিক), ব্যাংকের পাস বই বা ব্যাংকের চেক, পাসপোর্ট মাপের ছবি এবং ব্যাংক একাউন্টের সাথে সংযুক্ত মোবাইল ফোন নাম্বার, আবার নিজের নামে জমি না থাকলে দলিল দানপত্র বা দেবোত্তর বা অন্যান্য নথি এবং ঘোষণাপত্র আর তার সাথে পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া ওয়ারিশ সার্টিফিকেট লাগবে।
- কৃষক বন্ধুর মৃত্যুজনিত সহায়তা প্রকল্পের জন্য আবেদনপত্রের সাথে দিতে হবে- মৃত কৃষক বা নথিভুক্ত ভাগচাষীর সচিত্র পরিচয়পত্রের প্রত্যয়িত প্রতিলিপি (আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড), মৃত কৃষকের মৃত্যু শংসাপত্রের প্রতিলিপি, শহরাঞ্চলের জন্য মহকুমা শাসক অথবা মহাকুমা কৃষি অধিকারীকের দেওয়া শংসাপত্র এবং গ্রামীণ এলাকার জন্য ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের দেওয়া আইন সম্মত উত্তরাধিকার সংক্রান্ত শংসাপত্র, মৃত কৃষকের নামে জমি সাম্প্রতিক কাগজ/ বর্গা নিবন্ধিকরণের নথি বা বনবিভাগের পাট্টার নথির প্রত্যায়িত প্রতিলিপি।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে যোগাযোগের স্থান:
নিজস্ব গ্রামীণ এলাকায়, বিডিও অফিস এবং পৌর এলাকায় মহকুমা শাসক ও ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা, ওয়েবসাইট: www.matrikatha.gov.in অথবা www.matrikatha.net
মানবিক প্রকল্প:
পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তর এর উদ্দোগে রাজ্যের শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী নাগরিকদের জন্য একটি নতুন প্রকল্প তৈরি করেছেন। মানবিক প্রকল্পের অধীনে, রাজ্যের শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাসিক ভাতা 1000 টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে। 40 % বা 40 % এর বেশি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, তারা এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্পের সাহায্যে, এই লোকেরা স্ব-স্বনির্ভর হয়ে উঠবে এবং কোনও আর্থিক বাধা নিয়ে চিন্তা না করেই তাদের জীবন চালিয়ে যেতে সক্ষম হবে।

কারা এই মানবিক প্রকল্পে সুবিধা পেতে পারবে:
- আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গে কমপক্ষে ১০ বছর বসবাস করতে হবে।
- আবেদনকারী কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার বা অন্য কোন সূত্রে কোন পেনশন পাওয়া চলবে না।
- আবেদনকারীর বয়স ১০ বছরের কম হলে জন্ম তারিখের ভিত্তিতে বসবাসের সময় নির্ধারিত হবে।
- বিশেষভাবে সক্ষম যেসব মানুষের প্রতিবন্ধকতার পরিমাণ ৪০ শতাংশ (চল্লিশ শতাংস ) বা তার বেশি তারা এই সুবিধা পেতে পারবে।
মানবিক প্রকল্পে আবেদনের জন্য কী কী নথি প্রয়োজন:
- আবেদনকারীর ব্যাংকের পাস বইয়ের আইএফএস কোড ,অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ দরকারি তথ্য সম্বলিত এর ফটোকপি লাগবে।
- আবেদনকারীকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রতিবন্ধকতা সংক্রান্ত শংসাপত্র লাগবে।
- সবশেষে আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ফটোকপি লাগবে।
মানবিক প্রকল্পে যোগাযোগের স্থান:
আবেদনকারীকে যোগাযোগের জন্য, গ্রামীণ এলাকায় বিডিও অফিস, শহরাঞ্চলে মহকুমা শাসকের অফিস, কলকাতা কর্পোরেশন এলাকার জন্য কন্ট্রোলার অফ ভেগ্র্যান্সি অফিসে (পূর্ত ভবন) যোগাযোগ করতে হবে।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প:
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমা কভারেজ প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত নাগরিক এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। এই স্কিমের সুবিধা নিতে হলে, সুবিধাভোগীর একটি স্বাস্থ সাথী কার্ড থাকতে হবে। এই প্রকল্পে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ধারী পরিবারের সদস্যরা পরিবারপিছু বছরে 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পাবেন রাজ্যে ও রাজ্যের বাইরে দুই হাজারের বেশি হাসপাতালে।

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে কারা সুবিধা পেতে পারবে:
- যে পরিবারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই তারা নতুন কার্ডের জন্য ফর্ম -বি-তে আবেদন করবেন পরিবারের সকল সদস্যের আধার কার্ড/ খাদ্য সাথী কার্ডের প্রতিলিপি সহ। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ যে পূর্বেই রেজিস্টার বা নিবন্ধীকৃত (মোবাইলে এই মর্মে এসএমএস পেয়েছেন অথবা মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যাবে) কিন্তু কার্ড নেই, সেই পরিবারকে শীঘ্রই কার্ড প্রদান করা হবে, নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। এরমধ্যে পরিবারের কোন সদস্যের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে আবেদনকারীকে ফ্রম এ দ্বারা সেই সংশ্লিষ্ট পরিবারের মধ্যে সংযুক্ত করা হবে।
- পরিবারের কোন সদস্যের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই কেবলমাত্র এরকম পরিবার ফর্ম বি তে আবেদন করবেন।
- পরিবারের কোনো সদস্য যিনি ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিম ইএসআই সরকারি প্রসিদ্ধ কোন হেলথ ইন্সুরেন্স অথবা ইন্সুরেন্স স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত নয় এবং সরকারি বেসরকারি সংস্থা থেকে বেতন পান না কেবলমাত্র এমন পরিবারেই আবেদন করতে পারবেন।
- স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে পরিবারের নতুন সদস্য ফর্ম এ এর মাধ্যমে সংযুক্ত করা যাবে।স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এ নিবন্ধীকৃত কোনো সদস্যের নাম বাদ দিতে হলে ফর্ম ডি পূরণ করতে হবে।স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এ নিবন্ধীকৃত সদস্যের কোন তথ্য গত ভুল সংশোধনের প্রয়োজন হলে ফ্রম সি তে উপযুক্ত প্রমান সহ আবেদন করতে হবে, এবং এ প্রসঙ্গে উল্লেখ যে নামের সামান্য বানান ভুল বা এধরনের ছোটখাটো কারণে স্বাস্থ্য-চিকিৎসা পেতে কোন রকম অসুবিধা হয়না, তাই এরকম সামান্য প্রয়োজনে ফরম পূরণ করার দরকার নেই।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে কিভাবে আবেদন করবেন:
- প্রথমে, আবেদনকারী ও পরিবারের সকল সদস্যের নাম ও ঠিকানা (যেমন প্রযোজ্য) সহ প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরণ করবেন ।
- দ্বিতীয়ত, মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
- তৃতীয়ত, পরিবারের সকল সদস্যের আধার কার্ড/ খাদ্য সাথী কার্ড এর প্রতিলিপি জমা দিতে হবে।
যোগাযোগের স্থান:
মহকুমা শাসকের অফিস/ পুরনিগমের ক্ষেত্রে বারো অফিস, স্বাস্থ্যসাথী মোবাইল অ্যাপ/ ওয়েবসাইট https ://swasthyasathi.gov.in , টোল ফ্রি নম্বর-১৮০০-৩৪৫-৫৩৮৪।
ঐক্যশ্রী প্রকল্প:
পশ্চিমবঙ্গের যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র তাদের জন্য এই স্কিমের মাধ্যমে স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ে সমস্ত যোগ্য ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ওয়ান থেকে পি.এইচ.ডি স্তর পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন।

ঐক্যশ্রী প্রকল্পে কারা সুবিধা পেতে পারবে:
আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভুক্ত হতে হবে।
ঐক্যশ্রী প্রকল্পে তিন ধরণের স্কলারশিপ দেওয়া হয়:
- প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপ (প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত)।
- পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ (একাদশ শ্রেণি থেকে পিএইচডি পর্যন্ত)।
- মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ (কারিগরি/ বৃত্তিমূলক পাঠ্যক্রম এর জন্য)।
প্রি ম্যাট্রিক ও পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ এর জন্য যোগ্যতা:
- পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রী কেবলমাত্র রাজ্যে অবস্থিত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করলে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে।
- পারিবারিক বাৎসরিক আয় ২লক্ষ টাকা বা তার কম হতে হবে।
- অন্ততপক্ষে ৫০% নম্বর পেতে হবে বিগত শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষায়।
মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ এর জন্য যোগ্যতা:
- উচ্চমাধ্যমিক বা স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
- পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভুক্ত ছাত্রছাত্রীকে কারিগরি বা বৃত্তিমূলক পাঠক্রমে ভর্তি হতে হবে।
- পরিবারের বাৎসরিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকা বা তার কম হতে হবে।
ঐক্যশ্রী প্রকল্পে কিভাবে আবেদন করবেন:
- ব্যাংকের পাস বই এর ফটোকপি।
- একটি মোবাইল ফোন ওটিপির জন্য লাগবে।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বোনাফায়েড সার্টিফিকেট (কেবলমাত্র মেরিটকাম মেন্স স্কলার্শিপ এর জন্য)।
- বিগত শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার মার্কশিট লাগবে।
যোগাযোগের স্থান:
প্রথমত নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তারপর স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত/ বিডিও অফিস /পৌরসভা /সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের জেলা আধিকারিক এর অফিস।
বিশেষ তথ্য জানতে ও আবেদন করার জন্য:
www.wbmdfcsholarship.in
তপশিলি জাতি, আদিবাসী এবং ওবিসি শংসাপত্র:
অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তর এবং আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে একটি শংসাপত্র তৈরি করেন যা যে কোন জাতীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত বলে দাবি করেছেন তার পক্ষে প্রমাণ দেওয়ার একটি প্রমাণ।

কারা এই শংসাপত্র পেতে পারবে:
যে আবেদনকারী, সে কোন জাতি বা আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত বা অনগ্রসর শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করেছেন তার স্বপক্ষে প্রমাণ দেবে।
আবেদনের জন্য কী কী নথি প্রয়োজন:
- ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ভোটার কার্ড /আধার কার্ড লাগবে।
- সঠিক নামের বানানের জন্য স্কুলে শংসাপত্র বা এডমিট কার্ড লাগবে।
- বাবার আত্মিয়ের জাতিগত শংসাপত্র এবং পারিবারিক বিবরণ। অন্য কোন শংসাপত্র যা দিয়ে তিনি যে ওই জাতি বা সম্প্রদায়ভুক্ত তা প্রমাণ করা যায়।
- বিগত তিন বছরের বেতনের প্রমাণপত্র বা সমতুল্য কোন শংসাপত্র (ওবিসি আবেদনকারীর জন্য)/আয়কর রিটার্ন।
- সরকারি পরিচয় পত্রের ফটোকপি(ভোটার কার্ড /আধার কার্ড /প্যান কার্ড),ব্যাংকের পাস বই বা অন্য কোন শংসাপত্র যাতে প্রমাণিত হয় আবেদনকারী এই রাজ্যের বাসিন্দা।
- পাসপোর্ট সাইজ ফটো লাগবে।
কোন রকম কাগজপত্র না থাকলেও আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে এবং স্থানীয় তদন্ত ভিত্তিতে বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে।
যোগাযোগের স্থান:
অনলাইনে আবেদন করার জন্য ওয়েবসাইটটি দেখুন: www.castcertificatewb.gov.in
শিক্ষাশ্রী প্রকল্প:
শিক্ষাশ্রী প্রকল্প তফসিলি জাতি বিভাগের ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে যারা পঞ্চম থেকে অষ্টম তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। এই স্কিমের মাধ্যমে, দুই ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয় যা বই অনুদানের আকারে সহায়তা এবং রক্ষণাবেক্ষণ অনুদানের আকারে সহায়তা। এই স্কিমের সাহায্যে, শিডিউল বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রাক ম্যাট্রিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ উন্নত করা যেতে পারে এবং বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে ঝরে পড়ার ঘটনা হ্রাস করা যেতে পারে। শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতর এবং আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর এর উদ্দোগে তপশিলি জাতি আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের বছরে ৮00 টাকা স্কলারশিপ দেওয়া হবে।

কারা এই প্রকল্প পেতে পারবে:
- পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- সরকারি /সরকারি স্বীকৃতি প্রাপ্ত স্কুলের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর তপশিলি জাতি ও আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রী এই সুবিধা পাবে।
- পরিবারের বাৎসরিক আয় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার কম হতে হবে।
- ছাত্রছাত্রীকে অন্য কোন স্কলারশিপ প্রাপক হওয়া চলবে না।
- হোস্টেলে থাকা চলবে না।
- ব্যাংকে একটি সেভিংস একাউন্ট খুলতে হবে।
- ছাত্র ছাত্রীকে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে হবে।
শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে আবেদনের জন্য কী কী নথি প্রয়োজন:
- আয়ের প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
- ব্যাংকের পাস বই থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট মাপের ছবি লাগবে।
- আবেদনকারীর জাতির প্রমাণ/জাতিগত শংসাপত্র থাকতে হবে।
শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে যোগাযোগের স্থান:
ছাত্র-ছাত্রীকে নিজের স্কুলে আবেদন করতে হবে।
অন্যান্য তথ্য জানার জন্য:
www.anagrasarkalyan.gov.in বা www.adibasikalyan.gov.in এই ওয়েবসাইটে দেখুন।
পশ্চিমবঙ্গ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প:
উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে, পশ্চিমবঙ্গবাসী শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বার্থে তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দীর্ঘ মেয়াদে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হবে।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে কারা সুবিধা পেতে পারবে:
- অন্ততপক্ষে ১০ বছর পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী পরিবারভুক্ত শিক্ষার্থী হতে হবে এবং ভারতের নাগরিক হতে হবে।
- আবেদন করার সময় শিক্ষার্থীর বয়স অনধিক ৪০ বছর হতে হবে।
- দেশ-বিদেশের যেকোন স্বীকৃত কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়/ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিপ্লোমা কোর্স স্নাতক/স্নাতকোত্তর /পেশাগত /ডক্টরাল ও পোস্ট ডক্টরাল কোর্সে শিক্ষার্থী হতে হবে।
- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বীকৃত বোর্ড / সংসদের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি /বেসরকারি বিদ্যালয় /মাদ্রাসায় দশম শ্রেণি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠরত শিক্ষার্থী।
- বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য কোচিং ইনস্টিটিউশনে প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থী হতে হবে।
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে আবেদনের জন্য কী কী নথি প্রয়োজন:
- আবেদনকারীর আধার কার্ডের জেরক্স কপি /মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন কার্ডের জেরক্স কপি।
- আবেদনকারীর মোবাইল ফোন নম্বর ও ই-মেল আইডি।
- আবেদনকারী ও সহ ঋণগ্রহীতার (মা/বাবা/আইনি অভিভাবক) রঙিন ছবি লাগবে।
- আবেদনকারী ও সহ ঋণগ্রহীতার প্যান কার্ডের জেরক্স এর কপি যদি প্যান কার্ড না থাকে তাহলে নির্দিষ্ট ফরমেটে অঙ্গীকারপত্র দিতে হবে।
- অভিভাবকের ঠিকানার প্রমানপত্রের জেরক্স কপি ও মোবাইল ফোন নম্বর লাগবে।
- আবেদনকারী ও সহ ঋণগ্রহীতার ব্যাংকের তথ্য যেমন ব্যাংকের নাম ও শাখা ,অ্যাকাউন্ট নম্বর,আইএফএস কোড ইত্যাদি ওই ব্যাংকের পাস বইয়ের প্রথম পাতার জেরক্স কপি লাগবে।
- সহ ঋণগ্রহীতার ও আবেদনকারীর স্বাক্ষর লাগবে।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোর্স ফি নথির জেরক্স কপি লাগবে।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির প্রমান পত্র বা নথির জেরক্স কপি লাগবে।
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে অন্যান্য তথ্য জানার জন্য:
www.wb.gov.in দেখুন অথবা https://banglaruchchashikshawb.gov.in এর STUDENT CREDIT CARD এ ক্লিক করুন বা https://wbssc.wb.gov.in এ দেখুন। টোল ফ্রি নম্বর: ১৮০০ ১০২৮০ ১৪ অথবা ই-মেইল করুন support-wbscc@bangla.gov.in বা contactwbscc@gmail.com এ।
কৃষি জমির মিউটেশন এবং জমির রেকর্ড এ ছোটোখাটো ভুলের সংশোধন:
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এবং উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের উদ্যোগে রেকর্ডকৃত মালিক বা রায়তের কাছ থেকে সরাসরি কিনা কৃষিজমি ,উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া পূর্বসূরীর মালিকানাধীন জমির মিউটেশন এবং জমির নথিপত্রে ছোটখাটো ছাপার ভুলের সংশোধন করা হয়।
কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারবে:
পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো জমির মালিক এই পরিষেবার সুবিধা পাবে।
আবেদনের জন্য কী কী নথি প্রয়োজন:
নথিভূক্ত মালিক/ রায়তের কাছ থেকে কেনা কৃষি জমির মিউটেশন এর জন্য:
- আধার কার্ডের ফটোকপি (ঐচ্ছিক)।
- রেজিস্টার্ড দলিলের কপি।
- মিউটেশনের জন্য ঘোষণা।
- মিউটেশনের জন্য দেওয়া দলিলটি জাল অথবা বিকৃত নয় এই মর্মে ঘোষণা।
- এই মর্মে ঘোষণা যে কৃষিজমি কেবলমাত্র কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত হবে।
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমির মিউটেশন এর জন্য প্রয়োজনীয় নথি:
- জমির মৃত মালিক বা রায়তের সার্টিফিকেটের কপি লাগবে।
- আধার কার্ডের কপি লাগবে আইনি উত্তরাধিকারের(ঐচ্ছিক)।
- আইনি উত্তরাধিকার সংক্রান্ত সার্টিফিকেটের কপি লাগবে।
জমির রেকর্ড এর ছোটখাটো ভুল সংশোধন এর জন্য প্রয়োজনীয় নথি:
- আবেদনকারীর আধার কার্ড/ ভোটার কার্ড লাগবে।
- খতিয়ানের যে অংশটি সংশোধিত হবে তার সংশ্লিষ্ট দলের কপি লাগবে।
যোগাযোগের স্থান:
দুয়ারে সরকার শিবির (ক্যাম্প) অথবা সংশ্লিষ্ট বি এল আর ও অফিস।
অনলাইন আবেদন:
https://banglarbhumi.gov.in এই ওয়েবসাইটে দেখুন।
খাদ্যসাথী প্রকল্প:
খাদ্যা সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধাভোগীরা কম মূল্যে রেশন নিতে পারেন। যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে এবং অন্যান্য অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগের মানদণ্ডের অধীনে আসে তারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের ৪ কোটিরও বেশি মানুষ এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবেন। এই প্রকল্পের অধীনে, নাগরিকরা প্রতি কেজি প্রতি 2 টাকা মূল্যে 5 কেজি খাদ্যশস্য পেতে পারেন। খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর এর উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন/ রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার অন্তর্গত কোন রেশন কার্ড সংযোজন/ সংশোধন বা রেশন কার্ড সংক্রান্ত কোনো পরিবর্তন করতে হলে ফরম পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথি/ তথ্য জমা দিতে হবে।

পরিবারের কোনো ব্যক্তির যদি ডিজিটাল রেশন কার্ড না থাকে এবং পরিবারটি ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্যের আওতায় আসতে চায় তাহলে তার জন্য প্রয়োজনীয় নথি:
- আবেদনকারীকে ফরম ৩ পূরণ করে জমা দিতে হবে।
- ৫ বছরের বেশি বয়স হলে আবেদনকারীকে তার আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে যদি বয়স ৫ বছরের নিচে হয় তাহলে জন্ম সার্টিফিকেটের কপি দিতে হবে।
- আধার কার্ডের ঠিকানা ভুল হলে সেই ঠিকানার প্রমাণস্বরূপ পাসপোর্ট/ বিদ্যুতের বিল/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পোষ্টপেইড মোবাইল বিল/ ল্যান্ডলাইন ফোন বিল লাগবে।
- আবেদনকারীর নিজের বৈধ মোবাইল ফোন নম্বর লাগবে যদি না থাকে তাহলে তার পরিবারের অন্য কোন সদস্যের বৈধ মোবাইল ফোন নম্বর লাগবে।
পরিবারের কিছু সদস্য ডিজিটাল রেশন কার্ড না পেয়ে থাকলে তার জন্য প্রয়োজনীয় নথি:
- আবেদনকারীকে ফর্ম ৪(চার) পূরণ করে জমা দিতে হবে।
- আবেদনকারীর নিজের বৈধ মোবাইল ফোন নম্বর লাগবে যদি না থাকে তাহলে তার পরিবারের অন্য কোন সদস্যের বৈধ মোবাইল ফোন নম্বর লাগবে।
- পরিবারের যে প্রধান বা অন্য কোনো সদস্যের ডিজিটাল রেশন কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- পরিবারের সকল ডিজিটাল রেশন কার্ডধারির আধার কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
রেশন কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে হলে (নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদি) প্রয়োজনীয়া নথি:
- আবেদনকারীকে ফর্ম ৫ পূরণ করে জমা দিতে হবে।
- বর্তমানে যে ডিজিটাল রেশন কার্ডের প্রতিলিপি আছে তা জমা দিতে হবে।
- আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় সংশোধন সমর্থনের নথি জমা দিতে হবে,যেমন- ভোটার কার্ড, কিষান ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংকের পাস বই, ড্রাইভিং লাইসেন্স,পাসপোর্ট এর ফটোকপি ইত্যাদি।
- ৫ বছরের বেশি বয়স হলে আবেদনকারীকে তার আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে যদি বয়স ৫ বছরের নিচে হয় তাহলে জন্ম সার্টিফিকেটের কপি দিতে হবে।
- আবেদনকারীর নিজের বৈধ মোবাইল ফোন নম্বর লাগবে যদি না থাকে তাহলে তার পরিবারের অন্য কোন সদস্যের বৈধ মোবাইল ফোন নম্বর লাগবে।
রেশন দোকান পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি:
- আবেদনকারীর যদি পুরো পরিবারের হয় সে ক্ষেত্রে ফর্ম ৬, যদি আংশিক পরিবার হয় সেক্ষেত্রে ফর্ম ১৩, যদি বিবাহিজনিত কারণ হয় তাহলে ফর্ম ১৪ পূরণ করে জমা দিতে হবে।
- আবেদনকারীর আধার কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
- আবেদনকারীর বর্তমান ডিজিটাল রেশন কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
- আবেদনকারীর বিবাহের কারণে দোকান পরিবর্তন করতে চাইলে তার জন্য বিবাহের শংসাপত্রের ফটোকপি লাগবে।
- আবেদনকারীর পরিবারের বাকি সদস্যদের আধার কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
মৃত্যু বা অন্য কোন কারণে রেশন কার্ড সমর্পণ করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি:
- ফর্ম ৭ পূরণ করে জমা দিতে হবে।
- ডিজিটাল রেশন কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
- মৃত্যুর শংসাপত্র বা শ্মশানঘাট বা গোরস্থানের শংসাপত্রের ফটোকপি লাগবে।
ডিজিটাল রেশন কার্ড বিকল্প পেতে হলে তার জন্য প্রয়োজনীয় নথি:
- আবেদনকারীকে ফর্ম ৯ পূরণ করে জমা দিতে হবে।
- আবেদনকারীকে হারিয়ে যাওয়া ডিজিটাল রেশন কার্ডের ফটোকপি দিতে হবে, যদি না থাকে তাহলে পরিবারের অন্য কোন সদস্যের রেশন কার্ডের ফটোকপি দিতে হবে।
- যদি রেশন কার্ড নষ্ট হয়ে যায় তাহলে ডিজিটাল রেশন কার্ডের ফটোকপি দিতে হবে।
- আবেদনকারীর পরিবারের সকল সদস্যের আধার কার্ডের প্রতিলিপি জমা দিতে হবে,যদি পাঁচ বছরের বয়সের নিচে কেউ থাকে তাহলে তার জন্ম সার্টিফিকেটের কপি দিতে হবে।
ভর্তুকিহীন রেশন কার্ড/ জেনারেল ক্যাটাগরিতে ডিজিটাল রেশন কার্ড পেতে হলে তার জন্য প্রয়োজনীয় নথি:
- অবদানকারিকে ফর্ম ৯পুরণ করতে হবে।
- যদি রেশন কার্ডের ফটোকপি থাকে তাহলে দিতে হবে।
- ৫ বছরের বেশি বয়স হলে আবেদনকারীকে তার আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে যদি বয়স ৫ বছরের নিচে হয় তাহলে জন্ম সার্টিফিকেটের কপি দিতে হবে।
আধার এবং মোবাইল নম্বরের সংযুক্তিকরণ ডিজিটাল রেশন কার্ডের সাথে:
আবেদনকারী ব্যক্তি যদি তার রেশন কার্ডের সাথে আধার এবং মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করতে চান তাহলে তিনি তার নিকটবর্তী ক্যাম্পে যেতে পারেন এবং রেশন কার্ড ধারীকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি:
- আবেদনকারীর রেশন কার্ড লাগবে।
- আবেদনকারীর রেশন কার্ডধারীর আধার কার্ড লাগবে।
খাদ্যসাথী প্রকল্পের যোগাযোগের স্থান:
সব ধরনের ফল অনলাইনে বা অফলাইনে আবেদনের জন্য খাদ্য পরিদর্শকের কার্যালয় বা বাংলা সহায়তা কেন্দ্র জমা করা হবে।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট 2022 | Duare Sarkar Camp List 2023
হ্যালো, বন্ধুরা আমরা এখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যে সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবার আমরা দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট 2023 Duare Sarkar Camp List 2023 কোন জেলায় কবে দুয়ারের সরকারকে আয়োজিত হবে সে বিষয়ে আলোচনা করব।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট (Duare sarkar camp list) কোন জেলায় কবে আয়োজিত হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ প্রতিটি জেলার সরকারি ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা থাকে। আমি এখানে প্রতিটি জেলার সরকারি ওয়েবসাইট ইউআরএল দিয়ে রাখছি, যেখান থেকে আপনারা নিজেরাই নিজে নিজের জেলার দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট 2023 (Duare sarkar camp list 2023 ) চেক করতে পারবেন।
জেলার নাম | দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট |
আলিপুরদুয়ার | alipurduar.gov.in/index.html |
বাঁকুড়া | bankura.gov.in/duare-sarkar/ |
বীরভূম | birbhum.gov.in |
কোচবিহার | coochbehar.nic.in |
দক্ষিণ দিনাজপুর | ddinajpur.nic.in |
উত্তর দিনাজপুর | uttardinajpur.nic.in |
দার্জিলিং | darjeeling.gov.in |
হগলী | hooghly.nic.in |
হাওড়া | howrah.gov.in |
জলপাইগুড়ি | jalpaiguri.gov.in |
ঝাড়গ্রাম | jhargram.gov.in |
কালিম্পং | kalimpong.gov.in |
কলকাতা | শীঘ্রই আপডেট করা হবে |
মালদা | malda.gov.in |
মুর্শিদাবাদ | murshidabad.gov.in |
নদীয়া | nadia.gov.in |
উত্তর ২৪ পরগণা | north24parganas.gov.in |
দক্ষিণ ২৪ পরগনা | s24pgs.gov.in |
পূর্ব মেদিনীপুর | purbamedinipur.gov.in |
পশ্চিম মেদিনীপুর | www.paschimmedinipur.gov.in |
পূর্ব বর্ধমান | purbabardhaman.nic.in |
পশ্চিম বর্ধমান | paschimbardhaman.gov.in |
পুরুলিয়া | www.purulia.nic.in |
এখানে আমরা, সমস্ত জেলার আধিকারিক ওয়েব সাইটগুলি টেবিল আকারে লিস্ট করা হয়েছে। আপনারা এ সমস্ত আধিকারিক ওয়েবসাইটগুলি ভিজিট করে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট ২০২৩ (Duare Sarkar Camp List 2023) এর ব্যাপারে জানতে পারবেন। যদি কোন আধিকারিক ওয়েবসাইট থেকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট অপশন খুঁজে না পান তাহলে আপনারা এই আধিকারিক ওয়েবসাইটের ফোন নাম্বারে ফোন করে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্টের ব্যাপারে জানতে পারবেন।
আমি আশা করব এই পাতাটি থেকে আপনি দুয়ারের সরকার প্রকল্প এবং দুয়ারে সরকার ক্যাম্প লিস্ট 2023 (Duare Sarkar Camp List Date 2023) এর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন। যদি আপনার এই পাতাটি শেয়ার করতে ইচ্ছে হয়, তাহলে অবশ্যই শেয়ার করতে পারেন।